ঢাকা      বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
শিরোনাম

রাফায় মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ইসরাইলের কোন পরিকল্পনা নেই: ব্লিংকেন

IMG
13 May 2024, 6:12 AM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, গাজার দক্ষিণে রাফায় আশ্রয় নেয়া ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ রাখার ব্যাপারে কোন গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা ইসরাইল এখনো দেয় নি। তিনি বলেন, সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ শেষ হলে কী হবে, সে বিষয়েও ইসরাইল কোন পরিকল্পনা দেয় নি।

কয়েক মাস আগে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের উপর ইসরাইলি হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে ১৩ লাখ ফিলিস্তিনি ইসরাইলের আদেশে দক্ষিণ গাজার রাফায় পালিয়ে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে প্রায় তিন লাখ মানুষকে আবার সরে যাওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। ইসরাইল তাদের এবার রাফার উত্তর-পূর্বে, গাজার ভূমধ্যসাগর উপকূলে চলে যেতে বলেছে।

তবে রবিবার টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে ব্লিংকেন বলেন, ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা দেয়া বা তাদের পর্যাপ্ত মানবিক সাহায্য দেয়ার ব্যাপারে ইসরাইলের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই।

ব্লিংকেন বলেন এখানে অন্য একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। “গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর কী হবে, সে বিষয়ে কোন পরিকল্পনা আমরা দেখি নাই। কারণ, এখন ইসরাইল যে পথে আগাচ্ছে, তারা যদি রাফা আক্রমণও করে, তারপরও হাজার হাজার সশস্ত্র হামাস রয়ে যাবে,” তিনি বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, “উত্তরে যে সব এলাকায় ইসরাইল অভিযান চালিয়েছে, আমরা দেখেছি সে সব এলাকায়, এমনকি খান ইউনুসেও হামাস ফিরে আসছে।” “কাজেই, ইসরাইল যে গতিপথে আছে, রাফায় অভিযান চালানো, এমনকি হামাসের অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলো পরাস্ত করার জন্য, সেখানে বেসামরিক মানুষকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার সম্ভাবনা থাকে, বিশেষ করে যদি তাদের নিরাপত্তার জন্য কোন পরিকল্পনা না থাকে।

“আরও ঝুঁকি থাকে সমস্যার সমাধান না করার, যে সমস্যা আমরা দু’দেশই সমাধান করতে চাই, যার মানে হল আমরা নিশ্চিত করতে চাই হামাস যেন আর কখনো গাজা শাসন না করে,” ব্লিংকেন বলেন।

ইসরাইলের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র বারবার রাফায় পূর্ণমাত্রার স্থল অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু ইসরাইলের সামরিক বাহিনী রাফায় বিমান হামলা এবং সীমিত পরিসরে স্থল আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের জন্য বরাদ্দ দু'টি অস্ত্রের চালান -৩,৫০০টি ২২৭-কিলোগ্রাম এবং ৯০৭-কিলোগ্রাম বোমা - স্থগিত রেখেছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন এই বোমাগুলো রাফা আক্রমণে ব্যবহার করা হতে পারে। গত সপ্তাহে বাইডেন আরও বলেছেন, ইসরাইল রাফায় পূর্ণমাত্রায় অভিযান চালালে তিনি কিছু আক্রমণাত্মক অস্ত্রের চালানও আটকে দেবেন।

যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে ১০০-র মত জিম্মির মুক্তি নিয়ে ইসরাইল এখনো যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তা অচলাবস্থার মুখে পড়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, রাফায় অবশিষ্ট হামাস জঙ্গি উৎখাত না করা পর্যন্ত তার দেশ যুদ্ধ থামাবে না।

ব্লিংকেন এই চলমান বিশৃঙ্খলা নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন। “ইসরাইল যে গতিপথে আছে, তাতে তারা সম্ভবত একটা গেরিলা যুদ্ধ পাবে, যেখানে অনেক সশস্ত্র হামাস থাকবে। অথবা তারা (ইসরাইল) যদি চলে যায়, তাহলে সেখানে একটা শূন্যতা সৃষ্টি হবে যেখানে নৈরাজ্য চলবে, বা হামাস সেই শূন্যতা পুড়ন করবে,” তিনি বলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গাজায় এবং পুরো অঞ্চলের জন্য টেকসই ফলাফল এবং নিরাপত্তা পাওয়ার অনেক ভাল একটি পথ নিয়ে আমরা তাদের সাথে কথা বলছি।” ব্লিংকেন বলেন, “এই (যুদ্ধ) শেষ করার সবচেয়ে দ্রুত পথ হচ্ছে হামাস যদি জিম্মিদের ছেড়ে দেয়। আমরা একটা যুদ্ধ বিরতি পাবো, যেটার উপর ভর করে আমরা আরও টেকসই কিছু তৈরি করতে পারবো। সব পক্ষ কথা বলে যাচ্ছে।”

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন