ঢাকা      শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে কিছুটা স্বস্তি, অস্বস্তি চালের দামে

IMG
15 March 2025, 10:02 AM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: পবিত্র রমজানের মাঝামাঝিতে এসে নিত্যপণ্যের বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। রমজানের আগে থেকেই খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের যে সংকট ছিল, তা কিছুটা কমেছে। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে তা এখনো চাহিদার তুলনায় কম। এছাড়া, ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে। ফলের দামেও কিছুটা স্বস্তি মিলছে।

রাজধানীর নিউ মার্কেট, তুরাগ এলাকার নতুনবাজার ও শান্তিনগর বাজারে খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন পণ্যের দরদামের এ চিত্র পাওয়া যায়।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, রমজানের শুরুতে ক্রেতাদের কেনাকাটার যে চাপ থাকে, এক সপ্তাহ পেরিয়ে যেতেই তা কমতে থাকে। ফলে এখন নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতাদের কেনাকাটার কোনো চাপ নেই। ফলে দামও কিছুটা কমতির দিকে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা রমজানের শুরুতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মাল্টা কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য ফলের মধ্যে আপেল ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, পেয়ারা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরই ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আঙুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কমলা ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা রমজানের শুরুর তুলনায় ফলভেদে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা কম।

আলু-পেঁয়াজের দাম কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরাবাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও কমেছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে বর্তমানে তা ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, যা সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম। মুরগির পাশাপাশি ডিমের দামও বেশ কমেছে।

বাজারে প্রতি ডজন ফারমের বাদামি রঙের ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও গরুর মাংসের দাম কমেনি। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে।

এছাড়া লেবুর দাম সেভাবে কমেনি। খুচরাবাজারে প্রতি হালি লেবু ৫০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭ থেকে ২০ টাকা কমে ১৬০ থেকে ১৬৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিনে তিন টাকা কমে ৩৪৫ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ১৭৫ থেকে ১৭৮ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৮৪৫ থেকে ৮৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, রোজা শুরুর পরও বাজারে কিছু কিছু চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে ভালোমানের সরু চাল কিনতে প্রতি কেজিতে দাম দিতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। মাঝারি চালের দাম ৭০ থেকে ৭৬ টাকা আর মোটা চাল কিনতে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা দিতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে।

চালের খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শেষ গত এক সপ্তাহে আবারও চালের দাম কেজিপ্রতি দুই টাকা বেড়েছে। রশিদ, উৎসব ডায়মন্ড, মোজাম্মেল ইত্যাদি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের সরু মিনিকেট চালের ২৫ কেজির বস্তায় ৫০ টাকা বেড়েছে। এই চাল ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা কেজি পড়ছে।

৮০ টাকার নিচে কোনো ভালো মানের চাল পাওয়া যায় না। আর বড় বড় ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম আরও বেশি, ৯০ থেকে ৯২ টাকার আশপাশে। ফলে মধ্যম আয়ের মানুষকে ৮০ টাকা কেজি চাল কিনতে হচ্ছে।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন