ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই ঘণ্টা ফোনে কথা বলেছেন। ট্রাম্পের মতে, এটি ইউক্রেন যুদ্ধের 'রক্তস্নান' বন্ধ করার একটি প্রচেষ্টা। সোমবার এনবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে পুতিন বলেছেন, আলোচনাটি দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এবং 'খুব তথ্যপূর্ণ এবং খুব খোলামেলা' ছিল।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ন্যাটোর সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন। এদিন রোমে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বুঝতে পারছি এখানে কিছুটা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এবং আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে প্রশ্ন করবেন, তিনি সত্যিই আন্তরিক কি না?'
তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাব সব সময়ই ছিল। রাশিয়া এবং বিশ্বের বাকি অংশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে অর্থনৈতিক অনেক সুবিধা রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করতেই থাকেন, তাহলে সেই সুবিধাগুলো পাবেন না।'
এদিকে, পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ফোন কলের আগে বলেছিলেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে 'খুব মূল্যায়ন করে' এবং 'আমেরিকার প্রতি কৃতজ্ঞ'। সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি 'শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করতে পারে, তাহলে আমরা সে পথ বেছে নেবো'।
বহু প্রতীক্ষিত ট্রাম্প-পুতিন কলের আগে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতারা জানান যে, তারা রোববার ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা 'পুতিনকে শান্তি আলোচনাকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে'।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এক্স-পোস্টে লিখেছেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এবং ইউক্রেন ও ইউরোপের সমর্থিত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অবশ্যই দেখাতে হবে যে, তিনি শান্তি চান।'
আলোচনা ভালো হয়েছে বললেও পুতিন তার অবস্থান থেকে সরে আসার ব্যাপারে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে চেয়েছেন। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। পুতিন বলেন, 'রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট: আমাদের জন্য মূল বিষয় হলো এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর করা।'
ট্রাম্প তার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার দুই ঘণ্টা কথা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এটি খুব ভালো হয়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন শিগগিরই আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির দিকে এগিয়ে যাবে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, যুদ্ধ সমাপ্ত করবে। সমঝোতার শর্তগুলো দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে, এটি শুধুমাত্র তাদের মধ্যেই সম্ভব। কারণ তারা এমন কিছু জানে, যা অন্য কেউ জানে না।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com