ঢাকা      শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
শিরোনাম

ইসরাইলি হামলায় গাজার হাসপাতালের পরিচালক নিহত

IMG
03 July 2025, 11:13 AM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ইসরাইলি বিমান হামলায় পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ গাজার একটি হাসপাতালের পরিচালক ড. মারওয়ান সুলতান নিহত হয়েছেন। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ড. মারওয়ান সুলতান দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন।

একই সাথে এই ঘটনাকে গাজার "মেডিক্যাল কর্মীদের বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধ" উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজা সিটি এলাকায় হামাসের "একজন গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসীকে" লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে এবং "জড়িত না এমন বেসামরিক নাগরিকদের" ক্ষতি হওয়ার দাবি পর্যালোচনা করছে।

এদিকে, "নিরাপদ অঞ্চল" আল-মাওয়াসিসহ বিভিন্ন জায়গায় চালানো হামলায় শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাগুলো।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ড. সুলতানের চিকিৎসা জীবন ছিল সহানুভূতিশীলতায় পূর্ণ, "যেখানে তিনি আমাদের জনগণের ওপর চলমান আগ্রাসনের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি আর দুঃসহ মুহূর্তে অটলতা ও আন্তরিকতার প্রতীক হয়ে ছিলেন।"

ড. সুলতান যে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন, সেটিকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার "অযোগ্য" ঘোষণা করেছিল হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর জাতিসংঘ জানিয়েছিল "বারবার ইসরাইলি হামলায় স্থায়ী অবকাঠামোগত ক্ষতির" শিকার হয়েছে হাসপাতালটি।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ওই এলাকায় "সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে" লড়াই চালাচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর গাজার প্রশাসনিক এলাকায় এখন আর কোনো কার্যকর হাসপাতাল নেই।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চিকিৎসা ও মানবিক টিমকে লক্ষ্য করে বার বার হামলার অভিযোগ তুলেছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা "জড়িত নয় এমন ব্যক্তিদের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টিকে দুঃখজনক" বলে মনে করে আর "এমন ক্ষতি এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে"।

আইডিএফ আরও জানিয়েছে, হামাস "পরিকল্পিতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বেসামরিক অবকাঠামো ব্যবহার করে এবং বেসামরিক জনসাধারণকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে"।

তবে ড. সুলতানের মেয়ে লুবনা আল সুলতান জানান, "একটি এফ-১৬ ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি তার ঘর লক্ষ্য করে আঘাত করে। বাড়ির সব কক্ষ অক্ষত থাকলেও কেবল তার কক্ষটিই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়েছে, আমার বাবা সেখানেই শহীদ হয়েছেন।"

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে তিনি আরও বলেন, তার বাবা "কোনো দল বা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, যুদ্ধের পুরোটা সময় তিনি কেবল তার চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য চিন্তিত ছিলেন।"

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন