ঢাকা      শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২
শিরোনাম

সম্পর্ক উন্নয়নে দু’দেশের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন: পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

IMG
22 August 2025, 7:37 PM

চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ গ্লোবাল: চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। তিনি বলেন, আগামী ২৪ আগস্ট উভয় দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এর মাধ্যমে ব্যবসা ও বিনিয়োগের একটি রোডম্যাপ প্রস্তুতির পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যতগুলো দেশের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া সম্ভব, আমরা চেষ্টা করছি। পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি, ব্যবসায়ীরা তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রবৃদ্ধিকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হবেন।’

আজ শুক্রবার দুপুরে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কনফারেন্স হলে চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিবর্তিত বৈশ্বিক অর্থনীতির ধারা আমাদের সামনে অনেক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে দিয়েছে। পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা এদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে অত্যন্ত আগ্রহী। ব্যবসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন সম্ভাবনা চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং আরও প্রতিনিধি দল সফর করবেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানি ভিসা সহজীকরণের ব্যবস্থা হয়েছে এবং শিগগিরই সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে।’

স্বাগত বক্তব্যে চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, দু’দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সম্পর্ক থাকলেও পাকিস্তান থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয় মাত্র ৫৮ মিলিয়ন ডলার। তবে সাফটা এবং ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করার পাশাপাশি উভয় দেশের মধ্যে নন-ট্যারিফ বাধাসমূহ হ্রাস করা, বিটুবি সংযোগ উৎসাহিত করার মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকর্ষণ সম্ভব।

প্রচলিত পোশাক শিল্পের বাইরে ফার্মাসিউটিক্যালস ও হেলথকেয়ার প্রোডাক্ট, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি ও ডিজিটাল সেবা, লাইট ইঞ্জিনিয়াারিং ও শিপবিল্ডিং, এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং খাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় অন্যান্য বক্তারা দু’দেশের নিজস্ব পণ্য নিয়ে এক্সিবিশন ও ট্রেড শো আয়োজন, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও বিভিন্ন এক্সেসরিজ আমদানিসহ শিক্ষা ও বিভিন্ন শিল্প খাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার আহ্বান জানান।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী, বিএসআরএমের চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, পান রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. একরামুল করিম চৌধুরী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী, বিজিএমইএর পরিচালক এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, বাফা’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী (মিজান) ও প্রান্তিক গ্রুপের এমডি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সরওয়ার এতে আরও বক্তব্য রাখেন।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন