ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: সংবিধানের ১৩০ তম সংশোধনী বিল কেউ আটকাতে পারবে না। সরকার বিরোধীরা যৌথ সংসদীয় কমিটিতে থাকুক আর নাই থাকুক, বিল পাশ হবেই। এমনকি বিরোধীরা যদি আগামী চার বছর ধরে কোনও বিষয়েই সহযোগিতা না করে, তাহলে কি সরকারের কাজ আটকে থাকবে? দেশ চলবে, সরকারও নিজের কাজ করে যাবে। ১৩০ তম সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তৃণমূল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি আগেই ঘোষণা করেছে, এই সংশোধনী বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটিতে তারা যোগ দেবে না। কংগ্রেস এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। প্রসঙ্গত সংসদে এই বিল পেশ করে দেশটির সরকার জানিয়েছিল, বিল যাবে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। তারপরই এই বিলের নীতিগত কাঠামোরই প্রতিবাদ করে তৃণমূল জানিয়ে দেয় ওই কমিটিতে তারা যোগ দেবে না।
পরে অখিলেশ যাদব বার্তা দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুসরণে তাঁর দলও অংশগ্রহণ করবে না। তবে দ্বিধায় কংগ্রেস। কিন্তু সোমবার অমিত শাহ বলেছেন, বিরোধীরা সংসদীয় কমিটিতে যোগ না দিলে কিছু করার নেই। কমিটি নিজের মতোই চলছে। বিশ্লেষজ্ঞদের ডাকা হবে। বিভিন্ন স্তরের সংগঠন ও ব্যক্তিত্ব তথা বিশেষজ্ঞদের সংসদীয় কমিটিতে ডাকা হবে। বিরোধীরা যদি তাদের মতামত নিতে না চায়, তাহলে সরকার কী করতে পারে? কমিটির সদস্যরা কাজ করবেন। রিপোর্ট তৈরি হবে। পেশও হবে। তারপর যথানিয়মে বিল পাশ হয়ে যাবে।
অমিত শাহ বলেন, সংসদীয় কমিটিতে বিরোধীদের যোগ দিতে কে বারণ করেছে? তারা যদি মনে করে সংসদে সংখ্যালঘু হলেও সরকার তারাই চালাবে, সেটা তো হতে দেওয়া যায় না। ব্যাপারটা হাস্যকর। ১৩০ তম সংশোধনী বিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে - যদি তাদের কোনও অপরাধের জেরে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ৩০ দিন পর্যন্ত জামিন না পেয়ে জেলে থাকতে হয়।
এই বিল সংসদে পাশ করাতে হলে প্রয়োজন দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন। অমিত শাহ সোমবার বলেছেন, সরকারের কাছে সেই সমর্থন আছে। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে ৩১ জন সদস্য নিয়ে গঠিত করা হবে যৌথ সংসদীয় কমিটি। লোকসভা থেকে ২১ জন সদস্য ও রাজ্যসভা থেকে ১০ জন সদস্য থাকবেন।
অমিত শাহের বক্তব্য, আগামী দিনে যদি চার বছর ধরে বিরোধীরা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা না করে, তাহলে কি সরকার কোনও কাজ করবে না? দেশ চলবে না? এভাবে সংসদীয় ব্যবস্থা চলে না। নিয়ম অনুযায়ী আমরা বিরোধীদের সুযোগ দিচ্ছি। কারণ সরকার তো একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যে, সংসদ কীভাবে চলবে? কিন্তু সেটা তারা গ্রহণ না করলে আমাদের আর কী করার আছে!
এদিকে, ১৩০ নং সংশোধনী বিল নিয়ে অমিত শাহ সাক্ষাৎকার দিয়ে ব্যাখ্যা করছেন। বিজেপি অমিত শাহের সেই সাক্ষাৎকারে বলা বক্তব্য নিয়ে পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com