ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় গাড়ি উৎপাদনকারী কোম্পানি হুন্দাইয়ের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর কোনো কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অভিযান বলা হচ্ছে এটিকে।
তিন হাজার একর জায়গাজুড়ে নির্মিত এই কারখানা থেকে আটককৃতদের বেশিরভাগই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। গত এক বছর ধরে কোরিয়ান এই কোম্পানিটি সেখানে বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরির কাজ করছিল।
এই অভিযানের জন্য 'উদ্বেগ ও ক্ষোভ' প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। নিজেদের নাগরিকদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, "বেআইনিভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ বন্ধ এবং অন্যান্য গুরুতর ফেডারেল অপরাধের" অভিযোগের কারণে এজেন্টরা একটি তল্লাশি পরোয়ানা কার্যকর করেছে।
আটলান্টায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনের দায়িত্বে থাকা স্পেশাল এজেন্ট স্টিভ শ্রাংক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "এটি এমন কোনো অভিবাসন অভিযান ছিল না, যেখানে আমাদের এজেন্টরা ওই এলাকায় ঢুকে ঘেরাও করে লোকজনকে ধরে বাসে তুলে ফেলতো। বরং এটি বহু মাস ধরে চলমান একটি তদন্ত।"
"এই অপরাধের অনুসন্ধান চালানোর জন্য বিচার বিভাগীয় অনুমতি পেতে আমরা বহু মাস ধরে প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, সাক্ষাৎকার নিয়েছি, নথি সংগ্রহ করেছি এবং সেই প্রমাণ উপস্থাপন করেছি," শ্রাংক বলেন।
তিনি এটাও দাবি করেন, "কোনো একক সাইট হিসেবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তদন্তের ইতিহাসে বৃহত্তম এক অভিযান ছিল" হুন্দাইয়ের কারখানায় চালানো এই অভিযান।
এই অভিযান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ অগ্রাধিকার পাওয়া দু'টি বিষয়ের মধ্যে সম্ভাব্য উত্তেজনা বা বিরোধও তৈরি করেছে। আর তা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অবৈধ অভিবাসন দমন। এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপরও এই ঘটনা চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
শুক্রবার ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, "তারা অবৈধ অভিবাসী ছিল এবং আইসিই (অভিবাসন কর্তৃপক্ষ) কেবল তার কাজ করছিল।" সিউলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে একজন প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমরা অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাই এবং আমরা একটি দুর্দান্ত, স্থিতিশীল কর্মী বাহিনী চাই।"
তিনি বলেন, "আর আমার বোধগম্যতা অনুযায়ী, আমাদের অনেক অবৈধ অভিবাসী আছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ভালো মানুষ নন। কিন্তু সেখানে অনেক অবৈধ অভিবাসী কাজ করছিল বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। এরা (কর্মীরা) এমন লোক যারা বাইডেনের মাধ্যমে এসেছে, তারা অবৈধভাবে এসেছে।"
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com