ঢাকা      শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
শিরোনাম

বীর উত্তম ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদকে শেষ বিদায়

IMG
16 October 2025, 9:14 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: একাত্তরের আকাশ যুদ্ধের অকুতোভয় যোদ্ধা, ঐতিহাসিক ‘অপারেশন কিলো ফ্লাইটের’ সদস্য ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদকে ফিউনারেল প্যারেডের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা বিএফ বাশার ঘাঁটিতে ফিউনারেল প্যারেডের পর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। এসময় মরহুমের স্বজন, বিমান বাহিনী ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ ছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একজন বৈমানিক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য হাতে গোনা যে ক'জন বেসামরিক ব্যক্তি বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন, তিনি তাদেরই একজন।

মুক্তিযুদ্ধে ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে হেলিকপ্টার নিয়ে ঢাকার নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর জ্বালানি ডিপোতে এবং অটার দিয়ে চট্টগ্রামে জ্বালানি তেলের আরেক ডিপোতে আক্রমণ করেন বাংলাদেশের বিমান সেনারা। সেই অভিযানের সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন কিলো ফ্লাইট’।

ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং তার সহযোদ্ধারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান বিমানবাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত করেছিলেন। তাদের আক্রমণের পর ভারতীয় বিমানবাহিনী বাংলাদেশের প্রধান প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে আক্রমণ শুরু করে।

৫ ডিসেম্বর বাংলার আকাশ পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয়। সে সময় হেলিকাপ্টার দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর উপর ৫০টি আক্রমণ পরিচালনা করা হয়েছিল, যার ১২টিতে অংশ নিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ।

যুদ্ধ দিনের স্মৃতি স্মরণ করে ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সে সময় তার কোনো মৃত্যু ভয় ছিল না। কারণ নিরীহ মানুষকে রক্ষা করা আর ‘দেশ মা’-কে বাঁচানোই ছিল তার মূল লক্ষ্য।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন