স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: হকিতে বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের আধিপত্য ঐতিহ্যগতভাবেই সুপ্রতিষ্ঠিত। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে রোড টু প্লে অফে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার তাই ৮-২ গোলের জয় স্বাভাবিক ফলই বলা যায়। কিন্তু স্কোরলাইন যতই একতরফা হোক, মাঠের বাস্তব চিত্র ছিল ভিন্ন। আগের মতো জাদুকরি স্কিল, নিখুঁত ড্রিবলিং বা পাসিংয়ের মায়াজাল-এসবের তেমন দেখা মেলেনি পাকিস্তানের খেলায়। বরং বোঝা গেল, তারা এখন ইউরোপীয় ধাঁচের পাওয়ার হকিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে ব্যস্ত, যেখানে গতির চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় শারীরিক শক্তি ও কাঠামোগত শৃঙ্খলা।
বাংলাদেশও পিছিয়ে ছিল না প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বল দখল ও আক্রমণ গঠনে তারা দেখিয়েছে সাহসী মনোভাব। কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করলেও ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতাই তাদের এগিয়ে যেতে দেয়নি।
পাকিস্তান পুরো ম্যাচে ৮টি পেনাল্টি কর্নার পেলেও গোল করতে পেরেছে মাত্র একবার। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ৫টি সুযোগের মধ্যে একটি গোল আদায় করে নেয়, যা তাদের দৃঢ়তার প্রমাণ।
স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেনি কোন দলই। তবে পাকিস্তান টেকনিক্যালি ও টেকটিক্যালি এগিয়ে ছিল। শারিরিক গঠনও এগিয়ে রেখেছে অতিথিদের। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল আম্মাদ ভাটরা। বিশেষ করে বলতে হয় হান্নান শহীদ, হায়াত জিকরিয়া, আব্দুর রহমান আরফাজ, রানা ওয়ালিদের কথা। তারা যেভাবে মাঝমাঠ ও রক্ষণভাগ সামলেছেন তারল অভুতপুর্ব।
কম যায়নি বাংলাদেশও। ম্যাচের চার মিনিটে রক্ষণের রোমান সরকারের প্রতিপক্ষের স্টিকের আঘাতে মাথা ফেটে রক্ত ঝরেছে। সেই মুহুর্তে ওমানি আম্পায়ার শুকাইলি মাজিনের স্ট্রোকের নির্দেশ। একদিকে রক্তাক্ত রোমানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে, অন্যদিকে আহমদ বাটের স্টিক থেকে প্রথম গোল পাকিস্তানের (১-০)। প্রথম কোয়ার্টারের শেষ মিনিটে চমৎকার এক রিভার্স হিটে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান হোজাইফা (১-১)। বাকি সময়টা আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে সফরকারীরা।
প্রথম দুই অর্ধে তারা এগিয়ে থাকে ৫-১ গোলে। এর মাঝে তারা ছয়টি পিসি আদায় করে একটি গোল করে। বাকি সবগুলো ফিল্ড গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আলো ছড়ায় স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধে কোন পিসি না পেলেও তৃতীয় এবং চতুর্থ কোয়ার্টারে আদায় করে নেয় ৫ টি পিসি। ম্যাচে একেবারে শেষ মুহুর্তে চতুর্থ পিসি থেকে জয়-রেজাউল-আমিরুল কম্বিনেশনে দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এর আগে আরো তিনটি গোল হজম করে লাল-সবুজরা। শেষ পর্যন্ত ৮-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের গোলদাতা : হুজাইফা ও আমিরুল ইসলাম।
পাকিস্তানের গোলদাতা : আরফাজ ২টি, নাদিম ২টি, আম্মাদ ভাট, গজনফার, শহীদ হান্নান ও রানা ওয়াহিদ একটি করে।
ব্রেকিং নিউজ, এই মুহূর্তের খবর, প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর, লেটেস্ট নিউজ এবং গুরুত্বপূর্ণ আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন www.bangladeshglobal.com