ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, 'দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার্থে তারা শুধু লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যাই করেনি, তাদের সহকর্মীরা মা-বোনদের ইজ্জত পর্যন্ত লুট করেছিল। এই কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে।' তিনি বলেন, 'কিছু কিছু মানুষ বা কোন কোন গোষ্ঠীকে ইদানিং বলতে শুনেছি বা বিভিন্ন জায়গায় কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলে যে, অমুককে দেখলাম তমুককে দেখলাম, এবার অমুককে দেখুন। যাদের কথা বলে অমুককে দেখুন, তাদের তো দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে।'
তিনি আরও বলেন, '১৯৭১ সালে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, ঠিক যেভাবে পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার আগে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য।' আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে 'দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি'তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা, আমেরিকা বানাতে চায় না, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চায়।' সামনে বিএনপির জন্য অনেক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, 'বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছিল, এখন একইভাবে কিছু ব্যক্তি বা দল একই চেষ্টা করছে।'
বিএনপির জোট সরকারের সময় জামায়াতে ইসলামীর দুইজন নেতা মন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তারেক রহমান বলেন, 'কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল ঠিক একই সুরে গান গাইছে বা একই সুরে কতগুলো কথা বলার চেষ্টা করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদেরও তো দুইজন ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে সেই সময় সরকারে ছিল। সেই দুইজন ব্যক্তির বিএনপি সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত থাকা প্রমাণ করে দেয় যে, তাদের পূর্ণ আস্থা ছিল খালেদা জিয়ার উপর। কারণ, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। সেজন্যই তারা শেষ দিন পর্যন্ত ছিল।'
'এখন তাদের দলের অন্য যে যত বড় বড় কথা বলুক না কেন, খালেদা জিয়া শেষ দিন পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এবং দুর্নীতির অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে, এই আত্মবিশ্বাস তাদের মধ্যে ছিল,' যোগ করেন তিনি। তারেক রহমান বলেন, 'বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে এ দেশের জনগণ এবং এই ষড়যন্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দিতে পারে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে গণতন্ত্র। যেকোনো মূল্যে যদি জনগণের মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে অবশ্যই অনেক ষড়যন্ত্রকে আমরা রুখে দিতে পারব। কিন্তু ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে পারলেও সামনে অনেক কঠিন সময়।'
তিনি বলেন, 'একটি রাজনৈতিক দলের কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জিনিসের টিকিট বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন জিনিসের নিশ্চয়তা দিয়ে বেড়াচ্ছে। এখন আমি যতটুকু বুঝি—অনেক মুরুব্বি ব্যক্তি আছেন, এটি ধর্মীয় বিষয়—যা আমার না, আমি যদি সেটা দেওয়ার কথা বলি, অর্থাৎ ওয়াদা যদি করি, তাহলে আমি তার (আল্লাহর) সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছি। অর্থাৎ দোজখ-বেহেশত, দুনিয়ার সবকিছুর মালিক আল্লাহ। যেটা একমাত্র আল্লাহ বলতে পারেন, সেখানে যদি আমি কিছু বলতে চাই, আমার নরমাল দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বুঝি, সেটি হচ্ছে শিরক।'
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'কাজেই তোমাদের ঘরে ঘরে যেতে হবে এবং বলতে হবে, যারা এসব কথা বলে তারা শিরক করছে। আপনি যদি তাদের কথা শুনেন, আপনিও শিরকের পর্যায়ে পড়ে যাবেন।'
ব্রেকিং নিউজ, এই মুহূর্তের খবর, প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর, লেটেস্ট নিউজ এবং গুরুত্বপূর্ণ আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন www.bangladeshglobal.com