জবি, বাংলাদেশ গ্লোবাল : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরান ঢাকা তথা দেশের অন্যতম আদি শিক্ষার বাতিঘর বহু সংকট, সমস্যা অতিক্রম করে আজ প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সমস্যা হলো আবাসনের অভাব, অতিসম্প্রতি ছাত্রী হলের উদ্বোধন এ-র মধ্য দিয়ে একমাত্র অনাবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কালিমা মোচন করলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
কিন্তু উদ্বোধনের পরেও হয়নি নীতিমালা। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বল্প পরিসরে আগামী দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। সরকারী নির্দেশনা পেলেই শুরু হবে ক্লাস। এরই অংশ হিসেবে ছাত্রী হলে সিট বরাদ্দের জন্য নীতিমালা প্রস্তুত করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
একান্ত সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে হলে সিট বরাদ্দের নীতিমালা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের সামনে একটি সভা আছে। মূলত সেখানেই ঠিক করা হবে হলের নীতিমালা। তবে আমরা অনলাইনে আবেদনের একটি পদ্বতি চালু করা যায় কিনা ভাবছি। এটাও আসলে ঝামেলা তাদের আসতে হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থী আসলেই হলে সিট পাওয়ার যোগ্য কিনা বিবেচনা করে দেখার জন্য তাদের একটি সাক্ষাৎকার নিব আমরা। যে পরিমান শিক্ষার্থী আমাদের সে পরিমান জায়গা আমাদের নেই। এ জন্যই বাছাই করতে হবে, প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
নীতিমালার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেরি সিম্পল যারা সিনিয়র এবং সিনিয়রদের মধ্যে যাদের রেজাল্ট ভালো তারা সিট পাবে, এটাই নীতিমালার ভিত্তি থাকবে। আমরা যখন সবাইকে নিতে পারব না বাদ দেওয়ার জন্য একটি ক্রাইটেরিয়া করতে হবে। আমরা সাধারণত ফাইনাল ইয়ার এবং ফোর্থ ইয়ার ফাইনাল এদের মধ্য থেকেই সিট দেয়ার জন্য বাছাই করব।
মেধাবীদের বাছাই করে সিট দিব। এছাড়া কিছু সিট যারা একদম দূর থেকে আসছে যাদের ঢাকা শহরে থাকার জায়গা নেই। ঢাকায় বাবা মা বা কোন আত্মীয় নেই। পিতা-মাতা নেই তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। আশা করছি আমরা স্বাভাবিক অবস্থা হওয়ার আগেই লিষ্ট করতে পারব। তাহলে ক্যাম্পাস খুললে মেসে না উঠে সরাসরি ছাত্রীরা হলে উঠতে পারবে।
হলে ছাত্রী উঠানোর ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম বলেন, ক্যাম্পাস খুললে আমরা হলে ছাত্রী উঠাবো। ইতোমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নীতিমালা সংগ্রহ করেছি। সেগুলো অনুযায়ী আমরা একটা নীতিমালা প্রণয়ন করব এবং ঐ নীতিমালা অনুযায়ী হলে ছাত্রী উঠানো হবে। সবকিছুই একটা নীতি অনুযায়ী চলে। এখানেও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না। কোন ধরনের প্রভাব খাটিয়ে হলে সিট পাওয়া যাবে না। তবে প্রকৃতপক্ষে যাদের প্রয়োজন এবং মেধাবীরাই উঠতে পারবেন।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৮৫৮ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ২০০৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও ১৫ বছরে আবাসন সুবিধায় যুক্ত হয়েছে ১৬তলা বিশিষ্ট বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল। যেখানে সর্বসাকূল্যে প্রায় ১ হাজার ছাত্রী থাকতে পারবেন।