লালমনিরহাট, বাংলাদেশ গ্লোবাল: লালমনিরহাটে একই সময় ২৬টি স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আতংক বিরাজ করছে পুরো এলাকার মাঝে। বুধবার ভোর রাতে দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামটি লালমনিরহাট পৌরসভা ঘেঁষা। যার কারনে গ্রামটি শহরের আদলে গড়ে উঠেছে। মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে তেলিপাড়া দুর্গা মন্দিরের পাশে সুদাশন ও বিটুল মিয়ার খড়ের গাদায় আগুন দেখে গ্রামবাসী চিৎকার শুরু করে। গ্রামবাসীর চিৎকারে সবাই ঘুম জেগে উঠে একই সময় ওই গ্রামের ২৬টি স্থানে আগুন দেখতে পান। খবর পেয়ে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে চাঁদনী বাজার এলাকার একটি খড়ের গাদার আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। বাকী স্থানের আগুন স্থানীয়রা নিজেরাই নিয়ন্ত্রন করেন।
গ্রামটির প্রবেশ পথ তেলিটারী কালি মন্দির হয়ে সোজা দক্ষিণে সড়কের দু'পাশে ২৬টি স্থানে খড়ের গাদা, জমানো শুকনো পাতা, বেড়া, ছাউনী এবং পল্ট্রি খামারে আগুন লাগে। বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আগুনের সুত্রপাত কেউ জানাতে পারেনি। তবে অদৃশ্য শক্তির লাগানো আগুন বলে ধারনা করে স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
পার্শ্ববর্তী সুইপার কলোনীর ভাটিখানায় আগত মদ্যপরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও কেউ কেউ ধারনা করছেন। গ্রামবাসীকে আতংকিত করতেই অপরাধী চক্র এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।
অল্পে রক্ষা পাওয়া মিলন পল্ট্রি ফার্মের মালিক আতাউর রহমান বলেন, সড়কটির প্রবেশ পথ সুদাশন ও বিটুল মিয়ার বাড়ি থেকে শুরু করে আমার পল্ট্রি খামাড়ে শেষ করেছে। খামাড়ের মুরগীর চিৎকারে ঘুম থেকে জেগে দেখি খামাড়ে আগুন। নিজেরা নিভিয়েছি। প্রায় সবার বাড়িতে আগুন। কে কাকে সহায়তা করে। খামাড় নিয়ে বড় আতংকে রয়েছি। উঠতে একটু বিলম্ব হলে এক হাজার মুরগীসহ পুরো বাড়ি পুরে ছাই হত।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, একই সময় এভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ বা জিডি না করলেও আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছি। আতংকিত না হয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে গ্রামবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এমএফ
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com