ঢাকা      বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯
IMG-LOGO
শিরোনাম

আওয়ামী লীগ মুখে বলে একটা, করে আরেকটা : মির্জা ফখরুল

IMG
30 January 2023, 12:53 AM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। এদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।’ রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বৈঠকে বর্তমান দেশের রাজনীতির যে প্রেক্ষিত, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আন্দোলনকে বেগবান করতে ভবিষ্যতে কী কর্মসূচি হওয়া উচিত, আর কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে এবং কীভাবে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা যেতে পারে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা সরকার পতনের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন করছি। সামনের দিনে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে বেগবান করে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ লাখ লাখ নেতাকর্মী মামলার আসামি; তা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবিতে একমত হয়েছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে, তখন বিএনপি চেয়ারপারসন এবং খালেদা জিয়া বলেছেন—তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে বাংলাদেশে একটি চিরস্থায়ীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হলো এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল অনিশ্চয়তা এবং সহিংসতার দ্বার উন্মুক্ত করা হলো। যার প্রমাণ ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এদেশের মানুষ জানে না তারা তাদের ভোট দিতে পারবে কি পারবে না। আওয়ামী লীগ অতীতে যে কাজগুলো করেছে, তাতে দেশে জনগণ নিশ্চিত, এদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু হয় না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা আমাদের সমাবেশের তিন দিন আগে থেকেই স্ট্রাইক করে। রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল ফোন পর্যন্ত তারা চেক করতে থাকে। গত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগে পুলিশ দিয়ে তারা ১৫ দিন আগে থেকেই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল। বিরোধী দলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না, বাধা দেবে। ভিন্ন মত সহ্য করবে না। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ তাদের কথা বলতেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।’

১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো. আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন