নিউজ ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বাংলাদেশের পাটখাতকে সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগি পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পাটখাতের অংশীজনদের নীতিসহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
গোলাম দস্তগীর গাজী আজ দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) একটি প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এজন্য লাইসেন্স বিহীন অসাধু ব্যবসায়ীগণকে কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত, ভিজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ, বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। এসব পণ্যে কেউ যদি প্লাষ্টিকের ব্যবহার করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরো জোড়দার করবেন। দেশব্যাপী সারাবছর অভিযান চলমান থাকলেও বর্তমান পেক্ষাপটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) চেয়ারম্যান শেখ কফিল উদ্দিন,এমপি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মোঃ মাহমুদ হোসেন, অতিরিক্ত (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, আকিজ জুট মিলস লি. চেয়ারম্যান শেখ নাসিরউদ্দিনসহ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিত এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করতে সর্বদা পাটের বাজার দর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাট চাষ নিশ্চিত করতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com