ঢাকা      শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শিরোনাম

দেশের গণপরিবহনে আসছে এককস্মার্ট টিকেট

IMG
24 September 2023, 11:14 AM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: সরকার দেশের গণপরিবহন নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি স্মার্ট টিকেট ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এ স্মার্ট টিকেট কার্ড দিয়ে ইউটিলিটি বিল, সড়ক ও সেতুর টোল, সুপার মার্কেটের কেনাকাটা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধ করা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে একক এই পেমেন্ট ব্যবস্থার সুবিধা শুধু ঢাকার বাসিন্দারা নিতে পারবেন। তবে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ সুবিধা চালু হবে।

বহুমুখী এই কার্ডের নাম হলো ‘র‌্যাপিড পাস’। এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সরকারি পরিষেবার বিলও পরিশোধ করা যাবে। গ্রাহকরা তাদের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট থেকে কার্ডটি রিচার্জ করতে পারবেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সচিব এবং সরকারের পরিবহন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে র‌্যাপিড পাসকে সর্ব-অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই পাসের মাধ্যমে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে সারাদেশে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি), বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), বিআরটিসি বাস, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সব বাস, নৌপরিবহন এবং ট্রেনসহ বিদ্যমান পরিবহন পরিষেবার সব ধরনের ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন।

র‌্যাপিড পাস হলো- একটি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা; বর্তমানে যা ঢাকা মেট্রোরেলের যাত্রীরা ব্যবহার করছেন। এবছরের অক্টোবর থেকে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) এবং বিআরটিসি বাসের জন্যেও র‌্যাপিড পাস চালু করা হবে।

চালুর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্যাশলেস (নগদ টাকাহীন) লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জনসাধারণের সময় বাঁচানো। পাশাপাশি ঝঞ্ঝাটমুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিত করা। এছাড়া গণপরিবহণে স্বচ্ছতা ও শৃংখলা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোও এর লক্ষ্য। এজন্য সব সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি পরিবহনকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এসব কার্যক্রমের সমন্বয় করবে। প্রাথমিকভাবে ডিটিসিএ’র ক্লিয়ারিং ব্যাংক ডাচ বাংলা ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখায় কার্ড গ্রহীতার নাম ও মোবাইল নম্বরসহ ৪০০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধনের মাধ্যমে র‌্যাপিড পাস সংগ্রহ করা যাবে। পরবর্তীতে তা সব শাখা থেকেই করা যাবে। এ বছরের জুলাই পর্যন্ত ঢাকায় ৬৬ হাজার ১৮০ জন এই কার্ড নিয়েছেন। প্রতি মাসে এই কার্ডের গ্রাহক বাড়ছে ২০ শতাংশ হারে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা পরিবহনের ভাড়া আদায় নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে, যাত্রা শুরু ও গন্তব্যের (অরিজিনেশন-ডেস্টিনেশন বা ওডি) ডেটা তৈরি করবে, যা ব্যবহার করে বাস্তবসম্মত কৌশলগত নগর পরিবহন পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সরকার মনে করছে, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থা। যে কারণে এ ধরনের একটি কার্ড প্রচলনের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে থেকেই র‌্যাপিড পাস উদ্যোগ চলমান রয়েছে। এজন্য ডিটিসিএ পরিচালিত একটি প্রকল্পের আওতায় ট্রান্সপোর্ট ক্লিয়ারিং হাউজ স্থাপন করা হয়। এই প্রকল্পের লক্ষ্য একটি স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায় ব্যবস্থা চালু এবং তার সঙ্গে ভাড়া আদায় ব্যবস্থার সমন্বয়। এ প্রকল্পের আওতায় বিআরটিসি, এইচআর ট্রান্সপোর্ট, ঢাকা চাকা ও ওমামা বাস সার্ভিসে পাইলটিং হিসেবে র‌্যাপিড পাসের মাধ্যমে ভাড়া আদায় ও নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন