ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ফ্লোর প্রাইসের কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে পুঁজিবাজারে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএটিবিসি) শেয়ার দর স্থবির হয়ে ছিল। তবে গত সোমবার ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর থেকে দু'দিনে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১৫ শতাংশ। এতে কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ২০৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বিএটিবিসির শেয়ার দর কমার প্রভাবে দু'দিন ধরে পুঁজিবাজারেও সূচকের দরপতন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আগে গত রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিএটিবিসির শেয়ার দর ছিল ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ২৮ হাজার ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। পরদিন ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কোম্পানিটির শেয়ার দর কমে ৪৭৯ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়ায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার আরো কমে ৪৪০ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এদিন কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ২৩ হাজার ৮০৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের দিক দিয়ে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের পরেই বিএটিবিসির অবস্থান। ফলে পুঁজিবাজারে সূচক ওঠানামার ক্ষেত্রে প্রভাবশালী কোম্পানির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কোম্পানিটি। বিএটিবিসির দর কমার প্রভাবে গত দু'দিনে পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ৫২ পয়েন্ট।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে বিএটিবিসি পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৩ টাকা ১০ পয়সা।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৩৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৭৬ টাকা ২৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৮ মার্চ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com