ঢাকা      রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

রোকনের মুক্তির অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও মা

IMG
16 March 2024, 12:27 AM

নিউজ ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমডি আব্দুল্লাহ’র ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রুদের অন্যতম জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার নেত্রকোনার রোকন উদ্দিন। জলদস্যুদের কাছে জাহাজসহ আটক হওয়ার খবরের পর থেকেই নেত্রকোনায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলছে মায়ের আহাজারি। সান্ত্বনা দিতে এসে স্বজন প্রতিবেশীরাও কাঁদছেন।

অন্যদিকে, উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় স্বামী রোকন উদ্দিনের মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আদালত পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তানিয়া। তিনি বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের আগে চাকরি পাওয়া তানিয়া মধুপুর পৌর শহরের আদালত পাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত চাকুরে বাবা আব্দুল কুদ্দুসের বাসায় থাকেন। এখান থেকেই আদালত পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন গত বছরের ২২ জানুয়ারি।

ওই বছরের ২৩ মার্চ বিয়ে করেন নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরাকোণা ইউনিয়নের বাঘরোয়া গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে জাহাজের প্রকৌশলী রোকন উদ্দিনকে। শুরু থেকে বাবার বাড়িতে থেকে চাকরি করছেন। রোকন নিয়মিত আসা যাওয়া করছেন। বাংলাদেশে চাকরি সংশ্লিষ্ট ৬ মাসের একটা কোর্সের ৩ মাস শেষ করেছেন রোকন। পরে গত বছরের ২৭ নভেম্বর পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ৬ মাসের জন্য চাকরি ক্ষেত্র এমডি আব্দুল্লাহতে উঠেন।

এদিকে, তানিয়া সন্তান সম্ভবা। আগামী ৩০ এপ্রিল সন্তান হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ দিয়েছেন চিকিৎসক। মে মাসে বাড়িতে ফিরে সন্তানের মুখ দেখবেন এমনটি কথা ছিল। কিন্তু ঘটে গেলো এমন ঘটনা।

দস্যুদের কাছে আটক হওয়ার পর গত বুধবার স্বামীর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে তানিয়ার। রোকন বলেছেন, 'তাদের সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনো খারাপ আচরণ করছে না। দোয়া করতে বলেছেন সবাইকে। চিন্তা করতেও বারণ করেছেন। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। মোবাইল এখন দস্যুদের কাছে।'

স্বামীর এ অবস্থায় সন্তান সম্ভবা তানিয়া শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ। সব সময় দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে। শোনার পর খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শুক্রবার আদালত পাড়ার পাশের মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে মুসুল্লিরা রোকনসহ আটকে পড়াদের জন্য দোয়া করেছেন।

এই ঘটনা শোনার পর থেকেই উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছে নেত্রকোনার রোকনের পরিবার। বিশেষ করে তাঁর মা লুৎফুন্নাহার বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। তিন ছেলে ও দুই মেয়ের চতুর্থ রোকনের জন্য মা অনেকটা শয্যাশায়ী। পাড়া প্রতিবেশী ও স্বজনরা পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে এসে নিজেরাই কান্নাকাটি করছেন।

পরিবার ও স্বজনদের দাবি, জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার রোকনসহ সবাইকে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনার। জিম্মিদের নিরাপদে ফেরত আনার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি করেছেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোণা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। একই দাবি করেছেন মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন