স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: টাইব্রেকারে আন্তোনি রুডিগার শেষ শট জালে জড়িয়েই দিলেন ভোঁ-দৌড়। তাকে ছুতে ছুটতে থাকল রিয়াল মাদ্রিদের অন্য খেলোয়াড়রাও। এরপরই ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে শুরু হল রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালে যাওয়ার উৎসব। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে পা দিয়েছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফলতম দল।
টাইব্রেকার ভাগ্যে ম্যানসিটির প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন হুলিয়ান আলভারেজ। তবে রিয়ালের লুকা মডরিচের শট আটকে যায় এদেরসনের গ্লাভসে। সিটির পরের শটে বের্নারদো সিলভা বল তুলে দেন আন্দ্রে লুনিনের হাতে।
বেলিংহাম অবশ্য জাল খুঁজে নিয়ে রিয়াল শিবিরে স্বস্তি ফেরান। সেই স্বস্তি আরো বাড়ান লুনিন। মাতেও কোভাচিচের গতির শট ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন। এরপর লুকাস ভাস্কুয়েজ, নাচো ফার্নান্দেসের পর রুডিগার লক্ষ্যভেদ করলে জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয় রিয়াল।
টাইব্রেকারের মতো পুরো ম্যাচেই রিয়ালের তেকাঠির নিচে বিশ্বস্তের হাত হয়ে ছিলেন আন্দ্রে লুনিন। ম্যানসিটির একের পর এক আক্রমণের সামনে এই ইউক্রেনিয়ান গোলরক্ষক ছিলেন অকুতোভয়। নিশ্চিত কয়েকটি আক্রমণ ফেরানোর পর টাইব্রেকারে দুটি শট ফিরিয়ে রিয়ালের জয়ের নায়ক তিনিই। এবারই প্রথম ম্যানসিটির মাঠে জয়ের স্বাদ পেল রিয়াল।
প্রথম লেগ ৩-৩ সমতায় থাকায় এদিন জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিল দুই দলই।
সেই লক্ষ্যে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ১২ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। মধ্যমাঠে বেলিংহামের পা ঘুরে ভালভার্দের বাড়ানো বল ডান প্রান্তে পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিয়ুস, তার বাড়ানো বল অন্য প্রান্তে পেয়ে গোলের জন্যে শট নেন রদ্রিগো কিন্তু তা এদেরসন ফেরালেও ক্লিয়ার করতে।পারেননি। দ্বিতীয় দফায় বল পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়া ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায়। ১৮ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরলে ম্যাচে ফেরা হয়নি সিটির। এরপর আক্রমণে ঝড় তুলে রিয়ালকে কোণঠাসা করে রাখেন ডি ব্রুইন-ফোডেনরা। কিন্তু কিছুতেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। রিয়ালের রক্ষণভাগ ছিল জমাট। নিজের পরিকল্পনা দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছিলেন নাচো-কারভাহালরা।
রিয়ালের রক্ষণ ভাঙতে না পেরে দ্বিতীয়ার্ধে জ্যাক গ্রিয়েলিশকে তুলে জেরেমি ডোকুকে নামান গার্দিওলা। তাতে মেলে ফল। ৭৬ মিনিটে পায় ম্যাচে ফেরার গোল। ডোকুর শট কামাভিঙ্গা ঠিকঠাক ফেরাতে না পারলে ফিরতি বল গতির শটে জালে পাঠান কেভিন ডি ব্রুইন।
একটু পরেই আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন ডি ব্রুইন। বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়েও তা জালে পাঠাতে পারেননি বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। দুই লেগ মিলিয়ে নির্ধারিত নব্বই মিনিট সমতায় থাকার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই সময়ে পরিবর্তন আনে ম্যানসিটি। আর্লিং হালান্ডকে তুলে হুলিয়ান আলভারেজকে মাঠে নামান গার্দিওলা। এরপরও অতিরিক্ত সময়ে গোল আসেনি। রিয়ালও পারেনি ম্যানসিটির রক্ষণ ভাঙতে। তাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে টাইব্রেকারে। যেখানে শেষ হাসি রিয়াল মাদ্রিদের।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এইচএম
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com