স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: কানপুরের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংস থামল ১৪৬ রানে। লিড পেয়েছে ৯৪ রানের। জয় পেতে ভারতের দরকার ৭৯ রান। সামনে আছে পুরো দুই সেশনের খেলা।
সকালের সেশনে প্রথম ১৫ ওভারে উপহার দিয়েছিল ইতিবাচক ক্রিকেট। নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাদমান ইসলাম মিলে গড়েছিলেন ৫৫ রানের জুটি। দিনের প্রথম ১২ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৫৯ রান। মুমিনুল হকের উইকেট হারালেও কিছুটা ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং করেই লিড বাড়ানোর দিকে মনোযোগ ছিল বাংলাদেশের।
দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম দিনের শুরুর বলেই রান নিয়েছিলেন মুমিনুল। সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে এসেছিল বাউন্ডারি। পরের ওভারে জাসপ্রীত বুমরাহর ওভার থেকেও এসেছে ৫ রান। সেখানেও ছিল সাদমানের বাউন্ডারি।
এরপরেই টাইগার ইনিংসে আঘাত হানেন অশ্বিন। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল বাড়ালেন দলের বিপদ। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলটা ছিল অনেকটাই বাইরে। সেঞ্চুরির পথে মুমিনুল খেলেছিলেন অনেকগুলো সুইপ শট। সেই পথেই পা বাড়ালেন এবারেও। কিন্তু ভারত ছিল প্রস্তুত। লেগ স্লিপে কেএল রাহুল নিয়েছেন সহজ ক্যাচ। প্রথম দুই ওভারে দশ রান তোলার পরেই আউট হলেন মুমিনুল।
শান্ত-সাদমান জুটিতে অনেকটা পথ এগিয়েছিল বাংলাদেশ। দুজনের জুটি অবশ্য ৫০ পেরুবার পরেই আসে আঘাত। সাদমানের সঙ্গে গড়েছিলেন ৫৫ রানের জুটি। এমন পরিস্থিতিতে জাদেজার বলে রিভার্স সুইপ খেলতে চাইলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাটে বলে হয়নি, বল আঘাত করল স্টাম্পে। খানিক পরেই চলে গেলেন সাদমানও।
আকাশ দীপের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দেন সাদমান। লিটন এসেছিলেন। ১ রানের বেশি করা হয়নি তারও। জাদেজার লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে ঋষভ পান্তের হাতে। এই বিপর্যয়ের শেষ উইকেট সাকিব আল হাসানের। ২ বলে শূন্য করে ফেরেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
জাদেজার বলেই কট এন্ড বোল্ড হয়েছিলেন সাকিব। এই ইনিংসের মাধ্যমে দেশের বাইরে নিজের শেষ টেস্ট ইনিংস খেলতে নেমেছিলেন তিনি। আর দেশের মাঠে অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে না পারলে এটাই হতে পারে তার শেষ টেস্ট ইনিংস। তবে শেষটা ভাল হলো না তার। ৯১ রানে ৩ উইকেট থেকে ৯৪ রানে ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
জাসপ্রিত বুমরাহর গুড লেংথ বলটিতে মিরাজের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটকিপার পান্তের গ্লাভসে। বাংলাদেশের ইনিংসে ৮ উইকেটের পতন। খানিক পরে তাইজুলও ফিরে যান সেই বুমরাহর বলে। এবারের আউট এলবিডব্লিউ। শেষ উইকেটে খালেদ আহমেদের সঙ্গে অনেকটা সংগ্রাম চালিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। স্ট্রাইক নিজেই রেখেছেন। খালেদকে খুব একটা স্ট্রাইকে আনেননি।
তবে লাভের লাভ খুব একটা হয়নি। দলীয় ১৪৬ রানে বুমরাহর ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হলেন মুশফিক। বাংলাদেশের লিড তখন মোটে ৯৪।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/জেএস
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com