ঢাকা      শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১
শিরোনাম

উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

IMG
08 October 2024, 4:30 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

‘শারদীয় দুর্গাপূজা ১৪৩১’ উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটা অনুষ্ঠান হলেও সারাদেশের মানুষ এর আনন্দ উপভোগ করে। এ বছর দক্ষিণ সিটিতে ১৩১ টি ও উত্তর সিটিতে ১২২টিসহ ঢাকা মহানগরে ২৫৩ টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে যাতে করে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি ভাবগম্ভীর পরিবেশে এবং যথাযথ মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হতে পারে এজন্য বিভিন্ন ধাপে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরের প্রতিটি পূজা মন্ডপে স্থায়ী পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি থানা পুলিশের নিজস্ব অধিক্ষেত্রে টহল ও চেকপোস্ট ব্যবস্থা এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা ও মেটাল ডিটেকটরের মাধ্যমে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আয়োজকদের মধ্যে হতে প্রতিটি পূজা মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে। সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাসহ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মন্ডপে আনসার বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ র্যা ব ফোর্সেস বাহিনী তাদের টহল কার্যক্রম ও অন্যান্য নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। পূজার দিনগুলোতে আগত ভক্ত মন্ডলীদের চেকপোস্টে কর্মরত পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

পূজায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পূজার দিনগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। তবে পুরান ঢাকার দিকে রাস্তা সরু হওয়ার কারণে সেখানে যান চলাচলে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। এজন্য আমরা পূজা উদযাপন কমিটিকে অনুরোধ করেছি, পূজা মন্ডপের কাছাকাছি যেন কোন মেলা বা জনসমাবেশ যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করার জন্য।

কমিশনার বলেন, ১৩ই অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাৎসব শেষ হবে। এজন্য পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদী, ওয়াইজঘাট, ডেমরা শীতলক্ষা নদীসহ ১৫ টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসর্জন শোভাযাত্রাতেও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য নৌ পুলিশ ফায়ার ব্রিগেডসহ অন্যান্যরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ এর মাধ্যমেও সেবা গ্রহণ করা যাবে।

পূজার দিনগুলোতে আগত ভক্তদের চেকপোস্টে কর্মরত পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

কমিশনার বলেন, ‘বিসর্জন শোভাযাত্রাতেও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য নৌ পুলিশ ফায়ার ব্রিগেডসহ অন্যান্যরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ এর মাধ্যমেও সেবা গ্রহণ করা যাবে।’

বিসর্জনের সকল কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ কারার করে কমিশনার বলেন, ‘পূজা মণ্ডপ, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় সকল প্রকার মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ।’

বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ‘আমরা আশা করছি এ বছর পূজা উৎসব অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বাধাবিঘ্ন ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে।’ এজন্য তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ গ্লোবাল/জেএস

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন