পটুয়াখালী, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ (গেজেটভুক্ত) হওয়া এক ব্যক্তির মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সিফাত মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে এই মামলায় সাকিব মুন্সিকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাইনুল হাসান সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে পিরোজপুরের নাজিরপুর থেকে সিফাত মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালী ডিবি পুলিশ।
এর আগে, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ভুক্তভোগী মেয়েটি। পথে নলদোয়ানী এলাকায় পৌঁছালে মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি, সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি ও মালেক মুন্সির ছেলে ইমরান মুন্সি ওই কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এ ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় তারা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই পর দিন ১৯ মার্চ দুমকি থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই সাকিব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com