ঢাকা      সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫,৪৫২ কোটি টাকার খাদ্য কর্মসূচি অনুমোদন

IMG
23 March 2025, 10:02 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ নিশ্চিত এবং তাদের অপুষ্টি হ্রাস করার লক্ষ্যে ৫,৪৫২ কোটি টাকার খাদ্য কর্মসূচি অনুমোদন করেছে। আজ নগরীর শেরে বাংলা নগর এলাকার এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সভায় মোট ২১,১৩৯ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ মোট ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ১৪,১৯৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে, ৬,৫৩৯ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে এবং বাকি ৪০৬ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে।’

অনুমোদিত ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি নতুন এবং আটটি সংশোধিত প্রকল্প। স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের লক্ষ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হার এবং উপস্থিতি বৃদ্ধি করা, পাশাপাশি তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করা। এই কর্মসূচির আওতায়, প্রায় ১৫০টি উপজেলার ১৯,৪১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩.১৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচটি কর্মদিবসে পুষ্টিকর খাবার যেমন ফোর্টিফাইড বিস্কুট, কলা/মৌসুমী ফল, বান (পাউরুটি), ডিম এবং ইউএইচটি দুধ (পাস্তরিত দুধ) দেওয়া হবে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে সরকারি মালিকানাধীন জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন জমির প্রকৃত আয়তন নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদের মতো বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় খাস জমির পাশাপাশি বিশাল জমি রয়েছে উল্লেখ করে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, উপযুক্ত স্থানে অবস্থিত ও লাভজনক এসব জমি চিহ্নিত করে জমিতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়াও, বিভিন্ন শিল্পনগরী, বিসিক, বন্ধ পাটকল ও চিনিকলের অব্যবহৃত জমি রয়েছে এবং প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্পটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ‘মারাত্মক টিউমার’ ছিল। কারণ এখানে নদী বন্দরের সম্ভাবনাও নেই, সেখানে সমুদ্র বন্দর করার স্বপ্ন দেখা তো দূরের কথা। তিনি বলেন, বন্দরের পাশের চ্যানেলটি অনেক দীর্ঘ এবং সেখানে নাব্যতা বজায় রাখার জন্য প্রতি বছর খনন কাজ করা হবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন