আরিফুর রহমান, মাদারীপুর: মাদারীপুরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে বেরো ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। তীব্র তাপদাহেও চলছে ধান কাটা। তবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে সংশয় জানিয়েছে কৃষকরা।
যদিও কৃষি বিভাগ হাইব্রীড ধান উৎপাদনের মাধ্যমে খরচ কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের।
জানা যায়, এবছর মাদারীপুর জেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আর আবাদ হয়েছে ৩৩ হাজার ৭৫১ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের হার হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ৩ মেঃটন।
এছাড়া অধিকাংশ মাঠেই এখন পাকা বোরো ধান। ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। তীব্র তাপদাহের কারণে ধান কর্তনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে কৃষকদের। গত বছরের তুলনায় এবছর ভালো ফলন হওয়ায় খুশি কৃষক। তবে সার, বীজ, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ।
মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের কৃষক আলমাছ সরদার জানান, এ বছর যে পরিমান কৃষি সরঞ্জাম কিনে ধান আবাদ করেছি তাতে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছি ।
পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাহেরচর কাতলা গ্রামের কৃষক মেহেদি বাদশা জানান, বোরো পরবর্তীতে আমন ধান উৎপাদনের জন্য কৃষি বিভাগের প্রণোদনা এবং সার ও বীজের দাম কমানোর জন্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানান, বোরো ধান পরিপক্ক হওয়ায় তাপদাহে এর প্রভাব পড়বে না। তবে উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য হাইব্রীড ধান চাষ এবং প্রায় ২২ হাজার কৃষকে বোরো ধানের প্রণোদনা প্রদান করা হবে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com