ঢাকা      শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শিরোনাম

নোয়াখালীতে বিয়ে বাড়িতে হট্টগোল, বরকে উদ্ধার করলো পুলিশ

IMG
16 May 2025, 11:23 PM

মাওলা সুজন, নোয়াখালী: বিয়ের আসরে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডা থেকে শুরু হাতাহাতি। পণ্ড হয়ে গেলো সাজানো অনুষ্ঠান। উভয় পক্ষের কমপক্ষে ছয়জন আহত হন। এমন হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ এসে বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে নোয়াখালীর মাইজদীতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেনীর দাগনভূঁঞার এক ব্যক্তির সঙ্গে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার এক তরুণীর বিয়ের দিন ধার্য ছিল আজ। এ উপলক্ষে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনে পক্ষের অভিযোগ, বিকেল তিনটার দিকে বর তাঁর আত্মীয়স্বজন নিয়ে এসে কনে পক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। এরপর বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

কনের মামা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, প্রায় এক মাস ধরে তাঁর ভাগনির বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। আজ বিয়ের দিন ধার্য ছিল। সে অনুযায়ী বিয়ের আগের দিন বরকে প্রায় এক লাখ টাকার উপহার সামগ্রীও দেওয়া হয়। বরের আত্মীয়স্বজন কনের বাড়িতে গিয়ে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানও করেন।

কনের মামা আরও বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে বর তাঁর বোনের মোবাইল ফোনে জানান, তাঁকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে, না হয় তিনি ওই বিয়ে করতে পারবেন না। এ কথা শুনে তাঁর বোন হতবাক হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁরা বরকে অনুষ্ঠানে এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার অনুরোধ জানালে বর আসতে রাজি হন। দুপুর আড়াইটার দিকে বর তাঁর আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত মাইজদীর ওই রেস্তোরাঁয় আসেন। এরপর কথাবার্তার এক পর্যায়ে বর ও তাঁর আত্মীয়স্বজন কনের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এতে কনে পক্ষের তিনজন আহত হন। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বরকে থানায় নিয়ে যায়। কনের মামা জানান, তাঁরা এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অন্যদিকে বরের ভগ্নিপতি বলেন, বিয়ের আগে ৫০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কনের মায়ের সম্পর্কে আপত্তিকর একটি অভিযোগ শোনার পর তাঁর শ্যালক বিষয়টি নিয়ে কনের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে কনের আত্মীয়স্বজন তাঁদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা এ সময় তিনটি মোবাইল ফোন ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের আসরে গিয়ে পুলিশের একটি দল বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। তার আগে বরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন