স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: যশস্বী জয়সওয়াল এবং শুভমান গিলের শতরানের ইনিংস ছাড়া দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ব্যর্থতাই সঙ্গী ভারতীয় শিবিরের। অধিকাংশ ব্যাটারই ভরসা দিতে পারলেন না দলকে। চাপের মুখে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে ভারতের রান ৫ উইকেটে ৩১০। দিনের শেষে ১১৪ রান করে শুভমান এবং ৪১ রান করে রবীন্দ্র জাডেজা অপরাজিত রয়েছেন।
এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিন শেষে আরও ভাল জায়গায় থাকা উচিত ছিল ভারতীয় দলের। বার্মিংহামের ২২ গজে ব্যাট করা কঠিন নয়। বল পিচে পড়ে ভালোভাবে ব্যাটে আসছে। আকাশও মেঘলা ছিল না। পরিবেশ ব্যাটারের জন্য কঠিন ছিল না। তবু অকারণে পরিস্থিতি কঠিন করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তারপরও প্রথম দিন শেষে ভারতকে কিছুটা স্থিতিশীল দেখাচ্ছে তিনজনের জন্য।
ওপেন করতে নেমে প্রায় নিখুঁত ইনিংস খেললেন যশস্বী। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসের ফাঁদে পা দিয়ে মেজাজ গরম না করলে হয়তো ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্বিতীয় শতরানটা করে ফেলতেন। স্টোকসের করা অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ফেললেন। আউট হওয়ার আগে উপহার দিলেন ১৩টি চারের সাহায্যে ৮৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
ব্যাট হাতে একই রকম ঝকঝকে দেখালো অধিনায়ক শুভমানকেও। নেতৃত্বের দায়িত্ব ব্যাট হাতে অন্তত ভালোই সামলাচ্ছেন তিনি। চাপের মুখে ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রাখলেন। শুধু তাই নয়, হেডিংলির পর এজবাস্টনেও শতরান করলেন। যতোটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন ইনিংস খেলার চেষ্টা করলেন ভারতীয় অধিনায়ক।
নিজের মতো করে ম্যাচ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা চেষ্টা করেছেন ঠান্ডা মাথায়। চাপের মুখে তাঁকে সঙ্গ দিলেন জাদেজা। শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে দেখালেও দ্রুত পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। শুভমানের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে এ দিন ৯৯ রান যোগ করে স্বস্তি ফেরালেন গৌতম গম্ভীরের শিবিরে। প্রথম ইনিংসে নিশ্চয়ই ৪৫০ রানের কাছাকাছি তোলার চেষ্টা করবে ভারতীয় দল।
টেস্ট ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয়, তা বোধ হয় বুঝে উঠতে পারেনি তরুণ ভারতীয় দল। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের অভিজ্ঞতার অভাব হয়তো অনুভূত হতে শুরু করেছে শুভমানদের সাজঘরে। করুণ নায়ার (৩১) দ্বিতীয় টেস্টেও ভরসা করার মতো খেলতে পারলেন না।
নীতীশ কুমার রেড্ডি (১) ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে আউট হলেন বলের লাইন-লেংথ বুঝতে না পেরে। অভিজ্ঞ লোকেশ রাহুলও এ দিন ব্যর্থ (২)। সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্ত (২৫) উইকেট উপহার দিলেন অহেতুক আগ্রাসী হতে গিয়ে।
অথচ সে সময় একটু ধরে খেললে দলের কোনও ক্ষতি হতো না। হেডিংলিতে দুই ইনিংসে শতরান করা পন্তকে আরও ধৈর্য্যশীল হতে হবে লাল বলের ক্রিকেটে। উদাহরণ দলের মধ্যেই রয়েছে। চেষ্টা করলে পন্ত আরও ভালো টেস্ট ব্যাটার হয়ে উঠতেই পারেন।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com