ঢাকা      শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২
শিরোনাম

ফেনীতে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে সংঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ

IMG
22 August 2025, 11:41 AM

ফেনী, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামের নুরুল করিম বাবলু নামে এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে ফেনী মডেল থানায় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে মাথিয়ারা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৮), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মহিম (৩৫) ও রকি (২২) নামের এক ব্যক্তির নাম রয়েছে।

প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম নিজেকে যুবদল কর্মী দাবি করে পুরো ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে সাজানো মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন। থানায় অভিযোগ ও ভুক্তভোগী জানাযন, প্রায় ৬ মাস আগে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকায় এসে আনোয়ার মিয়ার কলোনীর একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই দম্পতি। স্বামী নুরুল করিম বাবলু রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। কয়েক মাস আগে থেকে স্থানীয় বখাটেরা বাবলুর স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় রকি কথা আছে বলে রিকশা চালক বাবলুকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে গভীর রাতে বাবলুর অবস্থা খারাপ বলে তার স্ত্রীকেও ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা কলোনীর পাশে একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে নিয়ে বাবলুর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বাবলুকে মারধর করে মাদক ধরিয়ে দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। এক পর্যায়ে কামরুল, মহিন ও রকি ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

ভুক্তভোগীর স্বামী বাবলু জানান, রাতভর বখাটেরা আমাকে আটকে রেখে মারধর করেন। সকালে তাদের থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় আসলে আমার স্ত্রীর সঙ্গে যা হয়েছে, জানতে পারি। আমি এর বিচার চাই।

ভুক্তভোগী নারী জানান, আমি ২ সন্তানের জননী। তারা এলাকার প্রভাবশালী। তারা কয়েক মাস ধরেই আমাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন৷ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আমার স্বামীকে অন্যত্র আটক করে ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করেছেন। আমি তাদের বিচার ও রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চাই।

এ দিকে, প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম নিজেকে যুবদলের কর্মী দাবি করে বলেন, আমি যুবদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছি। বিগত ১৫ বছর কমিটি গঠন না হওয়ায় কোনো পদ নেই। আমাদের দলীয় প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে হেয় করতে এ ষড়যন্ত্র করেছেন। ঘটনাস্থলের ভিডিওতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলু চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও তার সহযোগীদের সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে। তাদের অভিযুক্ত না করে ষড়যন্ত্র করে আমাকে অভিযুক্ত করে হয়রানি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচগাছিয়ার মাথিয়ারায় কামরুল নামে যুবদলের কোনো কর্মী নেই। তারপরও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, পালাক্রমে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন