ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া শুল্ক এখন ভারতের ঝুলিতে। তাকে কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। তবে ভারত সরকার ইতিমধ্যে মার্কিন শুল্ক মোকাবিলায় তৈরি করে নিয়েছে নতুন পথ। ভারতের ব্যবসা যাতে কোনোভাবেই মার না খায়, সেদিকে নজর রাখতেই তৈরি হয়েছে বিশেষ ব্লু-প্রিন্ট।
এই জায়গায় থেকে ভারতের নীতি একেবারে স্পষ্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ভারতের ওপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিতে থাকে, তাহলে সেখান থেকে বিকল্প পথ কী হতে পারে - সেদিকে সবার আগে লক্ষ্য রাখছে দেশটি। ইতিমধ্যে ভারতের কয়েকটি শিল্পর দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে বস্ত্র, অলঙ্কার এবং রত্ন শিল্প। এই তিনটি দিকে মার্কিন শুল্কের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে।
এতোদিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে এই তিনটি শিল্প অনেক বেশি রপ্তানি হতো। সেখান থেকে লাভও ছিল অনেকটা বেশি। তবে এবার বিকল্প পথের সন্ধান করছে ভারত। ফলে ভারতকে এবার এই তিন শিল্পের জন্য বিকল্প বাজার তৈরি করতে হবে। যাতে ভারতের ব্যবসায়ীরা কোনোভাবে ক্ষতির সামনে না পড়েন। ইতিমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিকল্প হিসেবে ৪০ টি দেশের কথা ভেবেছেন, যেখান থেকে ভারতের ব্যবসা অতি সহজে চলতে পারে।
এই দেশগুলির তালিকায় রয়েছে ইংল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস। পাশাপাশি মেক্সিকো, পোল্যান্ড, রাশিয়া এবং তুরস্ক ভারতের নজরে রয়েছে। বেলজিয়াম, কানাডা, আরব বিশ্ব এবং অস্ট্রেলিয়াকেও টার্গেট করেছে ভারত।
ভারতীয় এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি বাকি ৪০ টি দেশে ভারত সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে চলতে পারে, তাহলে সেখান থেকে লাভের অঙ্ক বাড়বে। ভারতের এই তিনটি দ্রব্যের চাহিদা অনেক বেশি। ফলে সেখান থেকে এই দেশের বাজার ধরতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।
ফিকি'র সভাপতি হর্ষবর্ধন আগরওয়াল জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসে ভারত কোন পথে ব্যবসা করবে; তার ওপর ভারতের অর্থনীতির উন্নতি অনেকটা নির্ভর করবে। এখানে আগামী দিনে জিএসটি একটি বিরাট ভূমিকা নিতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেশি শুক্ল দিতে হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এতো সহজে ছাড়বে না ভারত। কারণ হিসেবে বলা যায়, ভারত মার্কিন সম্পর্ক যেখানে রয়েছে - সেখান থেকে যদি ভারত একেবারে নেতিবাচক দিক নেয়, সেটি দুই দেশের সম্পর্কে বিরাট প্রভাব ফেলবে।
বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে না চটিয়ে ভারত চাইছে বিশ্বের বাকি দেশের সঙ্গে নিজেদের ব্যবসা আরও শক্ত করতে। সেই কাজ করতে ভারতকে খানিকটা সময় দিতে হবে। যেখানে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবর ভালো। সেখানে ভারত এবার আগামী দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যায়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্বের বাকি শক্তিধর দেশগুলিও।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com