ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: হামাস সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের গাজা শান্তি পরিকল্পনার কয়েকটি বিষয়ে আরও আলোচনা চাইছে বলে তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে। এদিকে, গাজা উপত্যকায় সামরিক তৎপরতা কেবল প্রতিরক্ষামূলক অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সেনাবাহিনীকে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরাইলি রাজনৈতিক নেতৃত্ব গাজা সিটি 'দখলের' তৎপরতা থামাতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প "শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ" অথবা "নরকের মুখোমুখি" হওয়ার জন্য হামাসকে রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, তার বিশ্বাস হামাস শান্তির জন্য প্রস্তুত এবং ইসরাইলকে "অবশ্যই গাজায় বোমা নিক্ষেপ বন্ধ করতে হবে"।
ট্রাম্পের মন্তব্যকে উৎসাহব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেছে হামাস। একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, তারা বন্দি বিনিময়, যুদ্ধ অবসান ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অবিলম্বে বাস্তবায়নে ইসরাইল প্রস্তুত হচ্ছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী প্রধান সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে রাতভর বৈঠক করেছেন বলে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
বৈঠকে তিনি ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন নিয়ে আগেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনাদের নিরাপত্তা 'শীর্ষ অগ্রাধিকার' এবং সেজন্য আইডিএফ দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের সব সক্ষমতা মোতায়েন করেছে। এ কমান্ড থেকেই গাজার অভিযান দেখভাল করা হয়।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিবৃতিতে গাজায় সামরিক তৎপরতা হ্রাস করার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়নি, বরং বলা হয়েছে- সেনারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে যাতে যে যেকোনো মুহূর্তে হুমকির জবাব দিতে পারে
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com