ঢাকা      শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
শিরোনাম

ধানের শীষ নিয়ে অযথা টানাটানি কেন, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের

IMG
10 October 2025, 4:50 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে অযথা কেন টানাটানি—প্রশ্ন করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘ভাই আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দিইনি। তোমাদেরকে তোমাদের মার্কা দেবে নির্বাচন কমিশন, সেটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।’

১৯৯০–এর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি সংসদ।

শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচন কমিশন দলটিকে এ প্রতীক দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এক বৈঠকের পর তাঁদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে নয়তো ধান, সোনালী আঁশ বাদ দিতে হবে’—এই শর্ত নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে এনসিপি। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া এনসিপি নিবন্ধন নেবে না।’

আজ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল, তারা ধমক দিচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে যে অমুক মার্কা না দিলে আমরা নির্বাচনে যাবো না বা ওমুকের মার্কা থাকতে পারবে না। আমরা এ কথা বলি নাই যে, তোমাদেরকে মার্কা দেওয়া যাবে না। তাহলে অযথা বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন।’

ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য এবং এটিকে থামিয়ে রাখা যায় না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গ্রামেগঞ্জে যেখানে যাবেন, সেখানে একটাই স্লোগান শুধু ধান লাগাও, ধান লাগাও—এটাই হচ্ছে প্রধান সমস্যা। ওই জন্য ধানের শীষকে রুখে দিতে হবে, আটকে দিতে হবে। কারণ, ধানের শীষ জিতে গেলে ওই যে বাংলাদেশের শত্রুরা আছে, সে শত্রুরা তাদের সব ষড়যন্ত্র থেকে পরাজিত হয়ে চলে যেতে বাধ্য হবে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দানব উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মনস্টার (দানব) শেখ হাসিনা এমনি এমনি দিল্লি পলাইয়া যায়নি, যেতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, আমরা সে ভিত্তি তৈরি করেছি। দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই করে সংগ্রাম করে রক্ত দিয়ে আমরা সেই ভিত্তি অর্জন করেছি।’

কয়েক দিন লাফালাফি করলে গণতন্ত্র হয় না—এমন মন্তব্যও করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র গড়তে হলে অনেক পরিশ্রম দরকার, ত্যাগ দরকার, জনগণের কাছে যাওয়া দরকার। বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য মানুষের কাছে যাওয়া পার্টি।’

আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেখছি আমলাতন্ত্রকে একটি দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করবো না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ আমলাতন্ত্র, সরকার থাকতে হবে নির্বাচনের সময়। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কোনো দলের কাছে যেন মাথা নত না করে।’

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে শহীদ জেহাদের লাশ রেখে আমরা শপথ করেছিলাম স্বৈরাচার পতনের। পরের দিন হরতাল কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আহত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে আমরা শহীদ মিনারে গিয়ে আবার শপথ নিই। শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারের পতন করতে সফল হই।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন