রাজশাহী, বাংলাদেশ গ্লোবাল: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী। তাদের অভিযোগ, নির্বাচন ঘিরে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির অস্ত্র মজুত করেছিল। ছাত্রশিবির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের ভোট না দিতে হুমকি দিয়েছে। এছাড়া একটি কেন্দ্রে এক ঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকার কথা উল্লেখ করে জাল ভোটের আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের প্রার্থীরা এসব অভিযোগ করেন। আজ সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত রাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ছাত্রদলের প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমরা আনন্দমুখর পরিবেশে রাকসু উদযাপন করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা সব প্যানেল সৌহার্দ্যমূলক আচরণের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা করেছি। ৩৫ বছর পর যে রাকসু নির্বাচন হচ্ছে এবং ১৭ বছর আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকারবিহীন। আমরা আশা করেছিলাম চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর চব্বিশের স্পিরিট ধরে রেখে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের পরিবেশ পাব। সকালে নির্বাচনের প্রথম দিকে সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল। আমরা সেটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছি। কিন্তু পরক্ষণেই আমাদের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। ’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি, রোদে পুড়ে ওখানে দাঁড়িয়ে ছিল। আমাদের প্যানেলের একজন এজেন্ট আমাকে জানিয়েছে, ওখানে ১০০ ব্যালট পেপার স্বাক্ষর করা হয়েছে, জাল ভোট করার জন্য অপচেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানে রোভার স্কাউটের সদস্য ভোট চেয়েছে এবং ভোটারদের ভেতরে যেতে বাধা দিয়েছে।’
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com