ঢাকা      সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২
শিরোনাম

নিহত ছাত্রদল নেতার বাড়িতে শোক

IMG
20 October 2025, 3:32 PM

কুমিল্লা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন খুনের ঘটনার পর কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোক। লাশ আনার জন্য রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছেন তার বাবাসহ স্বজনরা। পরিবারের সদস্যদের আশা, লাশটি আনা গেলে আজ সোমবার বিকেলে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

গতকাল রোববার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

হোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে জোবায়েদের বাড়িতে আজ সকালে সাংবাদিকরা গিয়ে দেখতে পান, খুনের ঘটনায় এলাকাবাসীসহ পরিবারের সদস্যরা শোকে মুহ্যমান। তারা অনেকেই বাড়িটিতে ভিড় করেছেন। গ্রামের মসজিদ থেকে মাইকিং করে জোবায়েদের নিহত হওয়ার কথা জানানো হচ্ছে। ওই সময় বসতবাড়িতে আহাজারি করছিলেন চার স্বজন। তারা চেয়ারে বসে জোবায়েদের স্মৃতিচারণা করছিলেন। জোবায়েদের চাচা খান সাব মিয়ার বসতঘরের এক কক্ষে বসে কান্না করছিলেন ফুফু নাছিমা আক্তার, চাচি জাহেদা আক্তার ও চাচাতো বোন সুমাইয়া আক্তার।

জোবায়েদের ফুফু নাছিমা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার বড় ভাই মোবারক হোসেনের চার ছেলের মধ্যে জোবায়েদ ছিলেন দ্বিতীয়। জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তৃতীয় ভাই সাইমন হোসেন ঢাকার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে, চতুর্থ ভাই মুশফিকুর রহমান নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছেন। জুবায়েদ হাসান মেধাবী ও ভালো চরিত্রের ছেলে ছিলেন। তার চার চাচা ও পাঁচ ফুফুর পরিবারের সদস্যদের বাইরেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। এসব কথা যখন তিনি বলছিলেন, জোবায়েদের মা মাফিয়া বেগম কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।

জোবায়েদের চাচা খান সাব মিয়া ও ইউনুস মিয়া প্রশ্ন তোলেন, তারা এই শোক কীভাবে সইবেন? তাদের ভাতিজা নিয়মিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। চাকরি পেলে ভবিষ্যতে চাচা ও ফুফুদের পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা করার সান্ত্বনা দিতেন। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ফুফু নাছিমা আক্তারকে টিউশনির আয় থেকে ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পাঠাতেন। শোকস্তব্ধ পরিবারটি এখন তাদের প্রিয় জোবায়েদের লাশের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন