ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মাহির রহমান ও বার্জিস শাবনাম বর্ষাকে মুখোমুখি করলে তারা হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বংশাল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। আসামিরা হলেন: মাহির, বর্ষা ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, প্রেমের দ্বন্দ্ব থেকে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বর্ষার সঙ্গে মাহিরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে বর্ষা ও জোবায়েদের সম্পর্ক হয়। এতে মাহির ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন।
ওসি আরও বলেন, সম্পর্কের টানাপোড়েনের একপর্যায়ে বর্ষা প্রথমে মাহিরকে প্রত্যাখ্যান করলেও পরে আবার যোগাযোগ করে জানান, জোবায়েদকে তার আর ভালো লাগে না। পরে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা ও মাহির।
রোববার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
সহপাঠী ও পুলিশের তথ্যমতে, ভবনটির একটি বাসায় উচ্চ মাধ্যমিকের এক ছাত্রীকে পড়াতেন জোবায়েদ। পুলিশের বরাতে জানা যায়, সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাস্থল থেকে দু'জন তরুণকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়, যদিও তাদের মুখ পরিষ্কারভাবে দেখা যায়নি।
গতকাল সোমবার সকালে মা রেখা আক্তার মাহিরকে বংশাল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বলে তাদের এক স্বজন জানান। তবে পুলিশ বলছে, মাহিরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com