ঢাকা      শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

IMG
07 February 2024, 4:36 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্ব মানের করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাসের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকালে কানাডার সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও উচ্চতর মানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনসহ স্বাস্থ্য খাত সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করেন দেশটির হাইকমিশনার।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন লিলি নিকোলাস। তবে এই নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ হতে হবে। এজন্য কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি উন্নত ও বিশ্বমানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন কানাডার হাইকমিশনার। এ পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ নার্স ও চিকিৎসক রয়েছে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৯৫ হাজার শিক্ষিত নার্স আছেন, যারা বিশ্বের যে কোনো দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারবে। তাদের আরও বেশি দক্ষ ও বিশ্ব মানের করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য দক্ষ প্রশিক্ষকও দরকার হবে আমাদের। এক্ষেত্রে কানাডা সরকার বাংলাদেশে যে উন্নত মানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়।

তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও নার্সিং পেশাকে যুগোপযোগী করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের উদ্যোগের পাশাপাশি কানাডা সরকারের সহায়তা পেলে বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে।

আলোচনায় কানাডার হাই কমিশনার বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশেষ করে প্রাইভেট মেডিকেলে অধিক সংখ্যক সিজারিয়ান বেবি জন্ম নেয় বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা ও গ্রামের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করার প্রসঙ্গে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের প্রায় চার হাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গ্রামে থাকা মেয়েদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণসহ গ্রামীণ মায়েদের জন্য ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি সিস্টেম সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিসের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট মাত্র ১ শতাংশ এবং কানাডার স্বাস্থ্য খাতে বাজেট ১২ শতাংশ। বাংলাদেশ এতো কম বাজেটে এতো বিরাট সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারবে কি না এবং ভবিষ্যতে কানাডা সরকারের কোনো ধরনের সহায়তা লাগবে কি না সে ব্যাপারে হাইকমিশনার জানতে চাইলে এ বিষয়ে আরও কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আরেকবার বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান। কানাডা হাইকমিশনের হেড অব কো-অপারেশন অ্যান্ড কাউন্সিলর এবং ভারপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাউন্সিলর সিওভান কের এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন