শরীয়তপুর, বাংলাদেশ গ্লোবাল: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪ জন। এতে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন নুরুল আমিন দেওয়ান। আর পরাজিত হন চশমা প্রতীকের এইচ এম কামরুল ইসলাম, মোটর সাইকেল প্রতীকের ফজলুল হক (কাওছার মোল্লা) ও ঘোড়া প্রতীকের আব্দুল হাই খাঁন।
নির্বাচনের পর থেকে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে। গত সোমবার বিজয়ী চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ানের সমর্থক নজির খাঁর বাড়িতে হামলা চালায় পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান অভিযোগ করেন, ‘পরাজয় মেনে নিতে না পেরে পরাজিতরা কয়েকদিন ধরে মারামারির প্রস্তুতি নিয়েছে। ওরা আমার সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে, লোকজনকে আহত করেছে।’
তবে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কারা এ সংঘর্ষ করেছে, আমি জানি না। তাছাড়া কী নিয়ে মারামারি তাও বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরাজিত তিন প্রার্থী ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু'জনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com