যশোর, বাংলাদেশ গ্লোবাল: যশোরে ফের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে যশোরে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবারও যশোর দেশের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
খুলনা বিভাগীয় আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। গত দুই সপ্তাহ ধরে যশোরসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, মৃদু তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝারি তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এদিকে প্রচণ্ড গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে মানুষ। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। প্রচণ্ড গরমে গলে গেছে যশোরের বেশ কয়েকটি পিচ ঢালা সড়ক। এরমধ্যে প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই যাত্রী বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রিকশাচালকরা। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস লাগছে চোখে-মুখে। যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে চেষ্টা করছেন অনেকেই। স্বস্তি পেতে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হাতে মুখে পানি দিয়ে ঠান্ডা হওয়ার চেষ্টা করছেন।
শহরে শরবত বিক্রেতা আবুল কালাম জানান, গরম বাড়ায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।
গ্রিন ওয়ার্ন্ড এনভাইরনমেন্ট ফাউন্ডেশন যশোরের নির্বাহী পরিচালক আশিক মাহমুদ সবুজ বলেন, ভূগর্ভস্ত পানির ব্যবহার এতো বেড়েছে যশোরে। পুকুর জলাশয় ভরাট অপরিকল্পিতভাবে গভীর ও অগভীর নককূপ স্থাপনের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাই দ্রুত জলাধর সংরক্ষণ বাস্তবায়ন আইন পাস করলে ভবিষ্যতে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এইচএম
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com