ঢাকা      বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২
শিরোনাম

৭ নভেম্বরের বিপ্লবই দেশের অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিল: নজরুল ইসলাম খান

IMG
05 November 2025, 4:34 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ৭ নভেম্বরের বিপ্লবই স্বাধীন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার পথ খুলে দিয়েছিল। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়া, শ্রমিক জাগরণ, উৎপাদন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্র মানা হয় নাই বলেই কিন্তু যুদ্ধটা হয়েছে। জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ যারা হয়েছিলেন, তাদের হাতে যদি ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া হতো; তাহলে মুক্তিযুদ্ধই হয়তো হতো না।

তিনি বলেন, মানুষের অভাব-অনটন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং জীবন-জীবিকার অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ায় ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের পর তৎকালীন সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে, যা মানুষের মৌলিক অধিকার স্থগিত করে দেয়।

১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে সংবিধানের পরিবর্তন ঘটিয়ে বাকশাল প্রতিষ্ঠার তীব্র সমালোচনা করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এ ব্যবস্থায় সব ক্ষমতা একজনের হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছিল এবং বিচার বিভাগকে পদানত করা হয়। বহু পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে হাজার হাজার সাংবাদিককে বেকার করা হয়।

তিনি বলেন, এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ৩ নভেম্বর সামরিক অভ্যুত্থানে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করা হয়। তবে সাধারণ মানুষ ও সেনাবাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এতে ক্ষুব্ধ হয়। ফলস্বরূপ, মাত্র চার দিনের মধ্যে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা বিপ্লব সংঘটিত হয়, যার মাধ্যমে শহীদ জিয়া মুক্ত হন।

তিনি আরও বলেন, তৎকালীন বাংলাদেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছিল। দেশে কোনো সংসদ ছিল না, মন্ত্রিসভা ছিল না এবং সামরিক বাহিনীসহ সারাদেশে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছিল। এ চরম সংকটের সময়ই মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে দেশ পরিচালনার সাহসিকতাপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর শহীদ জিয়া যে সব যুগান্তকারী কাজ করেন, তার মধ্যে রয়েছে কৃষি বিপ্লব। দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে নদী ও খাল খনন কর্মসূচি শুরু করেন এবং সেচের জন্য ডিপ টিউবওয়েল ও পাওয়ার টিলারের ব্যবস্থা করেন। এর ফলে মাত্র দুই বছরে খাদ্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হয়।

তিনি বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্প কারখানাগুলোকে পুনরায় চালু করা হয়। বিশেষ করে চিনি উৎপাদন এতো বাড়ে যে বাংলাদেশ রপ্তানি করতে সক্ষম হয়। শহীদ জিয়ার আমলেই প্রথম শ্রমিকদের জন্য ইনসেনটিভ চালু করা হয়।

শ্রমিকদের কল্যাণে জিয়াউর রহমানের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ জিয়া ১৯টি সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করেন এবং শ্রমিকদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউট (আইআরআই), লেবার ওয়েলফেয়ার সেন্টার ও আবাসন সুবিধা নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

শহীদ জিয়া যে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারা শুরু করেছিলেন, তা এগিয়ে নিতে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে সবার প্রতি আহবান জানান নজরুল ইসলাম খান।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন