ঢাকা      শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

জাহাজ নিয়ে শিগগিরই সুসংবাদ দেয়ার আশা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

IMG
14 March 2024, 4:14 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: সোমালীয় দস্যুদের ছিনতাই করা বাংলাদেশি জাহাজ নিয়ে শিগগিরই সুসংবাদ দেয়ার আশা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট স‌চিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি কিন্তু হাইরিস্ক এরিয়ার (উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা) ভেতর দিয়ে যায়নি। কিন্তু তারপরও তারা (জলদস্যু) অপেক্ষায় ছিল, কোনো জাহাজ পায় কি না।’ মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘দখলে নেয়ার পর তারা জাহাজটি নিয়ে সোমালিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর নাগাদ সোমালিয়ার কাছাকাছি তারা জাহাজটি নোঙর করে। আমাদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ হয়নি, তারাও যোগাযোগ করেনি।’

মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের আগের অভিজ্ঞতা আছে। জাহানমণি নামের একটি জাহাজ ২০১০ সালে এমন ঘটনার মুখে পড়েছিল। ১০০ দিনের মাথায় জাহাজটি আমরা ফেরত আনতে পেরেছিলাম। এরপর আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল মালয়েশিয়ান জাহাজ আলবেদো। সেখানে আমাদের সাতজন বাংলাদেশি নাবিক ছিল। ইরানি ছিল দু'জন, ভারতীয় তিনজন, পাকিস্তানি দু'জন, শ্রীলঙ্কান ছিল পাঁচজন। আলবেদো জাহাজটিও তারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পরে মালয়েশিয়ান মালিক পক্ষ বললো, ওই জাহাজের কোনো দায়-দায়িত্ব তাদের নেই। তখন জাহাজটি সেখানে আটকে থাকে, আমরা এখান থেকে কাজ করি। প্রায় আড়াই বছর পর জাহাজটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার সময় কিছু লোক মারাও যায়। তবে আমাদের লোকগুলো মারা যায়নি। আমাদের লোকগুলোকে তারা সরিয়ে রাখে। প্রায় তিন বছর চার মাস পর আমরা নেগোসিয়েশন করে কেনিয়ান আমর্ড ফোর্সেস দিয়ে উদ্ধার করে তাদের দেশে ফেরত এনেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টায় আছি। আমাদের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী কথা বলেছেন। ডিজি (শিপিং) আমাদের সঙ্গে আছেন। জাহাজের যে মালিক তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। মোটামুটি সব পক্ষের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। আমরা এখনও জানি না, তাদের কি দাবি-দাওয়া। আমরা যদি জানতে পারি, তখন হয়তো এটা কৌশলগতভাবেই আপনাদের (মিডিয়া) পুরোপুরি জানাতে পারবো না। গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন এলে তারা ওখানে দেখবে, যখন তারা দেখবে সরকার চাপের মধ্যে আছে; তখন তারা কিন্তু তাদের ডিমান্ড বাড়িয়ে দেবে।’

খুরশেদ আলম বলেন, ‘যারা এটা নিয়ে নেগোসিয়েশন করবে, যেভাবে জাহানমণিকে নেয়া হয়েছে, যেভাবে আলবেদোকে আনা হয়েছে সেরকম প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য, ২৩ জন নাবিক এবং জাহাজের মালামালসহ দেশে ফেরত আনা। সেই লক্ষ্য থেকে আমরা বিচ্যুত হবো না। আমরা হয়তোবা তাড়াতাড়ি একটা সুসংবাদ দিতে পারবো।’

তারা কোনো মুক্তিপণ চেয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই র‌্যানসম (মুক্তিপণ) আপনাদের সৃষ্টি, মিডিয়ার সৃষ্টি। আমাদের কাছে এখনও কোনো মুক্তিপণ তারা চায়নি, মুক্তিপণের ব্যাপারে কোনো যোগাযোগও তারা করেনি।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন